মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম কুলসুম। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন।
২০১৪ সাল থেকে লন্ডনের হার্লি স্ট্রিট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন কুলসুমের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে দাঁড়ালে মঙ্গলবার ভোরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় হয়। পরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) লাহোরে নওয়াজের পারিবারিক আবাস ‘জাতি উমরায়’ কুলসুমকে দাফন করার কথা রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, দাফনে অংশ নিতে নওযাজ শরিফ, তার মেয়ে ও মেয়ে জামাইকে ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার দাফন হলে সে বিবেচনায় তাদের প্যারোলের সময় বাড়ানোও হতে পারে।
আর কুলসুমের দাফন প্রক্রিয়া তিন দণ্ডপ্রাপ্ত থাকবেন বলে ‘জাতি উমরা’র ভেতরে তিনটি কক্ষকে সাব-জেল করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
১৯৭১ সালে কুলসুমের সঙ্গে নওয়াজ শরিফের বিয়ে হয়। দুর্নীতির দায়ে আদালতে সাজা ঘোষণার সময় নওয়াজ চিকিৎসাধীন স্ত্রীর শয্যাপাশেই ছিলেন। সাজা ঘোষণার পর কুলসুমকে রেখেই পাকিস্তানে ফেরেন নওয়াজ এবং তার মেয়ে ও জামাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/