উত্তর ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেন, দুর্যোগটি দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। ১০ হাজারেরও বেশি ভবন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে ফ্লোরেন্স ক্যাটাগরি-৪ থেকে ক্যাটাগরি-৩ এ নেমে এসেছে। এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। তবে ঝড়টি এখনও ‘অত্যন্ত বিপদজনক’ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এরইমধ্যে দক্ষিণ ক্যালোরিনা, উত্তর ক্যালোরিনা ও ভার্জিনিয়া থেকে প্রায় ১৭ লাখ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম গতিশীল করতে দক্ষিণ ক্যালোরিনার মোটরওয়েগুলোতে একমুখী যানচলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরেন্সের প্রভাবে সাগরে ২৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ দেখা যায়।
টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যাওয়া সবার জন্য বাধ্যতামূলক। ঝড়টি খুবই বিপদজনক। সবাই নিরাপদে থাকবেন।
ঝড়ের কারণে ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড ও ওয়াশিংটন ডিসির পর বুধবার জর্জিয়াতেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের পূর্বাভাসে ফ্লোরেন্সকে ‘স্টর্ম অব এ লাইফটাইম’ আখ্যা দিয়ে বলা হচ্ছে, হারিকেন ডায়ানা, হুগো, ফ্রান, ফ্লোয়েডের মতোই ফ্লোরেন্সও ক্যারোলিনার উপকূলকে বড় রকম ধাক্কা দিতে চলেছে।
জার্মান নভোচারী আলেক্সান্ডার গের্স্ট মহাকাশ থেকে ধারণ করা ফ্লোরেন্সের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ঝড়টির আকৃতি এতই বড় যে কেবল ‘সুপার ওয়াইড অ্যাঙ্গেল’ লেন্সের সাহায্যে এর ছবি তোলা সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে হারিকেন ফ্লোরেন্সের কারণে আগামী শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মিসিসিপির পূর্ব নির্ধারিত র্যালি বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে সবাইকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এনএইচটি