এদিকে ফ্লোরেন্স দুর্বল হয়ে স্যাফির সিম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি-১’এ নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার ঝড়টি ক্যাটাগরি-চার থেকে তিনে, অতঃপর দুইয়ে নেমে আসে।
পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার সকাল অথবা দুপুরে উত্তর ক্যারোলিনার কেপ ফেয়ারের কোথাও কোথাও এক মিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের পরিচালক কেন গ্রাহাম ফেসবুকে লিখেছেন, ফ্লোরেন্সের প্রবল বাতাসে সমুদ্রের পানি ৪ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার ওপর আছড়ে পড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন উত্তর ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণ ক্যারোলিনার পশ্চিমভাগে প্রচুর ভূমিধসের আশংকার কথা জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ফ্লোরেন্সের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। সপ্তাহের শুরুতে এর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার যখন তা ক্যাটাগরি-চারে রূপ নিয়েছিল।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস বলছে, উত্তর ক্যারোলিনা উপকূলের দ্বিপগুলোতে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার। এছাড়াও মূল ভূখণ্ডের মোরহেড শহরে ১৩ ঘণ্টায় ৯ দশমিক ১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত ঘটে। ইতোমধ্যেই বেশকিছু রাস্তাঘাট তলিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
ঝড়ের গমন পথে প্রায় এক কোটি লোকের বসবাস। এদিকে ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়ার উপকূল অঞ্চল থেকে প্রায় ১০ লাখ লোককে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাজারও মানুষ জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ফ্লোরেন্সের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল অঞ্চলের বিভিন্ন বিমানবন্দরের প্রায় এক হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এনএইচটি