ঘণ্টা প্রতি প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে এবং তিন ইঞ্চি বৃষ্টিপাত নিয়ে ক্যাটাগরি এক হারিকেনটি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে আঘাত হানে। অঞ্চলটি উইলমিংটনের পূর্বে রিটসভিলে বিচের কাছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ফ্লোরেন্স সেন্টারকে নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনার উপকূলে আরও পুরো একটি দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। দমকা বাতাস ও বন্যায় যারা ঘরের ভেতর আটকে গেছেন, তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
নর্থ ক্যারোলিনা শহর থেকে উদ্ধারকারীরা ১০০-এর বেশি অবরুদ্ধ মানুষকে বের করে আনে। কিন্তু ১০ ফুট উচ্চতার ‘বিধ্বংসী’ ঢেউ ও খারাপ পরিস্থিতির কারণে আরও দেড়শ’-এর বেশি মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঝড়টি ক্যাটাগরি চার থেকে তিনে, অতঃপর দুইয়ে নেমে আসে। এরপরও ফ্লোরেন্স যথেষ্ট বিপদজ্জনক, জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
পেগ্গি পেরি নামে এক ব্যক্তি তার তিন প্রতিবেশীসহ বাড়িতে আটকে পড়েছেন এ ঘটনায়।
তিনি বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমার বাড়ি কোমর পর্যন্ত ডুবে যায়। এখন এটি বুক পর্যন্ত উঠে এসেছে। আমরা চিলেকোঠায় আটকে আছি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অধিবাসীদের ছাদসহ বাড়ির সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ফ্লোরেন্সের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে ক্যারোলিনা উপকূলের কোনো কোনো অঞ্চলে ৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত দাঁড়াবে পানি। এছাড়াও সমুদ্রে দমকা হাওয়া বইবে।
জরুরি কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার ক্যারোলিনার চার লাখের বেশি মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এএইচ