চুক্তির পর সংবাদ সম্মেলনে মুন জানান, চুক্তিতে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে একমত হয়েছে দু’টি পক্ষ। এছাড়াও এতে উত্তর কোরিয়ার প্রধান প্রধান মিসাইল লঞ্চিং সাইটগুলো বন্ধ করে দিতে সম্মত হয়েছেন কিম।
এদিকে কিমের ভাষ্যমতে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি বয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে চলেছে এই চুক্তি।
চুক্তিতে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াও নিজেদের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন, স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা এবং কোরিয়ান যুদ্ধের কারণে বিভক্ত হয়ে পড়া পরিবারগুলোকে পুনর্মিলনের মতো ব্যাপারগুলোও একমত হয় দুই কোরিয়া।
প্রেসিডেন্ট মুন সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তংশাং-রি মিসাইল ইঞ্জিন টেস্ট সাইট ও মিসাইল লঞ্চ ফ্যাসিলিটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে রাজি হয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে অদূর ভবিষ্যতে সিউল সফর করার ব্যাপারে কথা দিয়েছেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে এর আগে কখনও উত্তর কোরিয়ার কোনো সুপ্রিম লিডার সফর করেননি।
এছাড়াও ২০২৩ সালে দুই কোরিয়া যৌথভাবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ দুই রাষ্ট্রপ্রধান। জানা যায়, পিয়ংইয়ংয়ে প্রেসিডেন্ট মুনের সর্বশেষ সফরে এ চুক্তি করেন তারা।
এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনা কমাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক প্রধানের মধ্যে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এনএইচটি