শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সামরিক বাহিনীর পোশাক পরে নিকটস্থ একটি পার্ক থেকে কুচকাওয়াজ লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে ওই বন্দুকধারীরা। ইরানে ১৯৮০-৮৮ সালে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে হামলার সূত্রপাত হয় এবং প্রায় ১০ মিনিট ধরে গুলি-পাল্টা গুলি চলে। হামলায় চারজন অংশ নিলেও দু’জন নিহত হয় এবং দু’জনকে ধরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রাথমিকভাবে ৯ সৈন্যের প্রাণহানির কথা বলা হলেও পরে মোট ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। নিহতদের মধ্যে কুচকাওয়াজ দেখতে আসা শিশু ও নারীও রয়েছেন।
আঞ্চলিক ডেপুটি গভর্নর আলী হোসেইন হোসেইনজাদে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এখন পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সরকারবিরোধী আরব জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী আহভাজ ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্স এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ‘বিদেশি’ অর্থায়নে।
আঞ্চলিকভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের বছরের পর বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ ইস্যুতে এই বিরোধ রীতিমত স্নায়ুযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ ‘বিদেশ’ বলতে সৌদি অথবা তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকেই বুঝিয়েছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ইরানে জীবনযাত্রার মান পড়ে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকারের বিরুদ্ধে গত বছর যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তার সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছিল এই আহভাজেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/