সবচেয়ে বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলায়। ব্যাপক ভূমিধসে চন্ডিগড়-মানালি ও পাঠানকোট-চাম্বা মহাসড়ক দু’টিতে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুল্লুর বিভিন্ন এলাকা। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর স্রোতে ওই জেলার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। পাহাড়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পাঁচজন। জরুরি অবস্থা মোকেবেলার জন্য সরকারের অনুরোধে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও কুল্লু, কিন্নর ও লাহুল-স্পিতির উঁচু এলাকাগুলোতে তুষারপাত দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে লাহুল-স্পিতির কেলং শহর প্রায় দুই ফুট তুষারে ঢেকে গেছে।
পাঞ্জাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ‘রেড অ্যালার্টের’ পাশাপাশি মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে গত দুই দিন ধরে একটানা ব্যাপক পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কর্তৃপক্ষ। পাঞ্জাবে বৃষ্টিপাত সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা যান, এরমধ্যে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ায় মারা গেছেন তিনজন।
কাশ্মিরে সাতজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এরমধ্যে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয় বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ায়। এছাড়া ভূমিধসে একজন এবং স্রোতে ভেসে একজন মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩১, ২০১৮
এনএইচটি