রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির মূল-ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঝড় টাইফুন ‘ত্রামি’। ঝড়ের আঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ জন।
‘ত্রামি’র আঘাতে ইতোমধ্যে জাপানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে স্থগিত রাখা হয়েছে বুলেট ট্রেন সার্ভিস। এছাড়া টোকিও’র ট্রেন সার্ভিসসহ বাতিল করা হয়েছে এক হাজারের মতো ফ্লাইট।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের ওকিনাওয়া দ্বীপে আঘাত হানে টাইফুন ‘ত্রামি’। এতে অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনকি অনেকগুলো ভেসেও যায়। এছাড়া ওই দ্বীপে আহত হয় ৪৬ জন মানুষ। তবে এখনও নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে বলছে, কিয়ুউশু ও ওকিনাওয়ার প্রায় পাঁচ লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে ‘জেবি’র আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় জাপান। ঝড়টি ছিলো গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এছাড়া এর প্রভাবে যে উচ্চতায় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তা ছিলো ১৯৬১ সালের পর সর্বোচ্চ। এতে ওসাকার কানসাই বিমানবন্দরের রানওয়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে কয়েকদিন ফ্লাইট ওঠানামা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
২০১৮ সালের শুরুতে জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিতে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। যদিও তার আগে খরায় দুর্বিষহ সময় পার করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের দেশটির মানুষ।
এছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরেই জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইদুতে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এএইচ/আরআর