শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরের কাছে ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে জারি করা হয় সুনামি সর্তকতা।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডো উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, আমি আশা করি, জনগণ ধৈর্যধারণ করবে। আমরা মিলেমিশে কাজ করছি।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি বলছে, ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কিন্তু ডংগলা ও পালু শহরে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে ২৪ লাখ মানুষের।
রোববার দেশটির রাজধানী জার্কাতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরওহো বলেন, জ্বালানি, সুপেয় পানি, চিকিৎসা সহায়তা, তাঁবু, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, খাদ্য ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবারহ খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫শ লোকের প্রাণহানি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত দেশটিতে ২০০৪ সালে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দু’লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে প্রায় সোয়া লাখই ইন্দোনেশিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
এএইচ/এএ