বলা হচ্ছে, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে ট্রাম্পের উত্তেজনাকর ও আক্রমণাত্মক মন্তব্যের কারণে এমনটি হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার বিশ্বের ২৫টি রাষ্ট্রে জরিপ চালিয়ে এ ফলাফল উপস্থাপন করেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।
জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ উত্তরদাতারা ট্রাম্পের ওপর ভরসা করতে পারেন না। এমনকি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভরসার দিক থেকে ট্রাম্পের ওপরে অবস্থান করছেন।
জরিপে এও দেখা যায়, ২০১৭ সালের পর থেকে (ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ) যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে সার্বিক ভাবমূর্তির অবনতি হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নেতিবাচক ভেবে থাকেন।
তবে এ জরিপে শুধুমাত্র জার্মানির ৩০ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ফ্রান্সের ৩৮ শতাংশ ও কানাডার ৩৯ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এমন ধারণা রাখেন।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকেই বিশ্ব কূটনীতিতে বেশ আলোচনার জন্ম দেন ট্রাম্প। বের হয়ে আসেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক চুক্তি থেকেও।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি ও ইরানের পরমাণু শক্তি হ্রাস বিষয়ক চুক্তি। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুর কারণে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাশিয়ার পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উনের সঙ্গে। আবার ক্ষুব্ধ ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশি দেশ ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের জুনে কানাডায় অনুষ্ঠিত সাত রাষ্ট্রের সংগঠন জি-৭ এর একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প। এমনকি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। এছাড়া জার্মানির বাণিজ্য-প্রতিরক্ষা খাতে কম ব্যয়ের বিষয়েও সমালোচনা করেন এ প্রেসিডেন্ট।
গত সপ্তাহেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নিজ প্রশাসনের অর্জন নিয়ে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
এতে তিনি বলেন, গত দুই বছরে তার প্রশাসন যা অর্জন করেছে, তা কোনো প্রশাসনই অর্জন করতে পারেনি। এতে হাসির রোল পড়ে যায় পুরো অধিবেশনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এএইচ/টিএ