মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডার সংসদে সু চি’র নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যায়। দেশটির সিনেট সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এর পক্ষে রায় দেন।
মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা সু চি’ই একমাত্র ব্যক্তি যার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে গেলো।
গত মাসে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নিপীড়নের নানা চিত্র উঠে আসে। এতে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, পুড়িয়ে দিয়েছে হাজারও ঘরবাড়ি। এছাড়াও তারা জাতিগত নিধন ও গণধর্ষণের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। এতে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা ও অনুসন্ধানের কথা বলা হয়।
জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে কানাডার সিনেট নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হয়। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) রত্না অমিদভার নামে একজন সিনেটর সু চি’র নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি সিনেটে উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই এ নৃশংসতার স্বীকৃতি দেবো। এটা গণহত্যা। এটি যেমন এটিকে তাই বলা দরকার।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ের কারণে ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন অং সান সু চি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এএইচ/এএ