ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২০৩০ সালেই ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৮
২০৩০ সালেই ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৮ ধাপ এগিয়ে যাবে

ঢাকা: বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ভিত্তিতে ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৪২।

লন্ডনভিত্তিক এইচএসবিসি’র বৈশ্বিক গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।  

‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০: আওয়ার লং টার্ম প্রজেকশন ফর ৭৫ কান্ট্রিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৮ ধাপ এগিয়ে যাবে।

অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার দিক থেকে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৮ ধাপ এগিয়ে যাবে

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধিই কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অংশ। এটা খুবই স্পষ্ট যে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে। ধনী দেশ নরওয়ের মতোই এটা হতে পারে।  

এইচএসবিসির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি মডেলে দেখানো হয়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রত্যেক বছর ৭ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। যা প্রতিবেদনটির ৭৫ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।  

বলা হচ্ছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ও ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৭ শতাংশ এবং ২০২৮ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।  

এতে আরো বলা হয়, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এখন অর্থনীতির পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এইচএসবিসির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতিতে অগ্রসর, উদীয়মান ও উন্নত ৭৫টি দেশের প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে র‌্যাংকিং করা হয়েছে।  

এতে বলা হয়, আগামী দশকেও চীন বিশ্বের একক বাজার হিসেবে বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে চীন হবে বিশ্বের শীর্ষ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এছাড়াও ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।  

প্রতিবেদনটি তৈরির ক্ষেত্রে অর্থনীতির ছয়টি প্রধান নির্দেশকের ওপর লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- প্রবৃদ্ধির মান, জনসংখ্যা (আকার ও আকৃতি), মানবসম্পদ (শিক্ষা ও স্বাস্থ্য), রাজনীতি, উন্মুক্ততা, প্রযুক্তি।  

এতে বলা হয়, যতো বেশি শিক্ষিত শ্রমশক্তি থাকবে দেশ ততো বেশি উৎপাদনশীল হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এএইচ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।