এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে পালু শহরে। চালু হয়েছে বেশ কিছু সেবা।
গত শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরের কাছে ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে জারি করা হয় সুনামি সর্তকতা। পরবর্তীতে ওই অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে।
সুলাওয়েসি দ্বীপের ছোট্ট শহর পালুতে তিন লাখ ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। অসহায় এ মানুষগুলোর এখন প্রধান ভরসা মানবিক সহায়তা। আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলো এগিয়েও এসেছে। কিন্তু প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্গম অঞ্চলগুলো হয়ে পড়েছে আরো দুর্গম। ভূমিধস, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন মৌলিক অধিকার থেকেও।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৪। তবে তাদের আশঙ্কা নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বিশেষ করে পালুর দুর্গম অঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনও তেমন কোনো কিছুই জানা যায়নি।
ফ্রিদা সিন্টা নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, এ দুর্যোগে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা গাড়ি কিংবা মোটরবাইক যা পাচ্ছি তাতেই সাহায্য সহায়তা নিয়ে আসছি। তবে দুর্গম জায়গাগুলোতে এখনও যেতে পারিনি।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি বলছে, ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কিন্তু ডংগলা ও পালু শহরে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে ২৪ লাখ মানুষের।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫শ’ লোকের প্রাণহানি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত দেশটিতে ২০০৪ সালে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দু’লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে প্রায় সোয়া লাখই ইন্দোনেশিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এএইচ/এনটি