পুরুষ ভক্তদের নপুংসক করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দেশটির হরিয়ানার একটি আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২০১২ সালে রাম রহিমের এক ভক্ত তাকে নপুংসকের অভিযোগ করেন।
তবে মুক্তি পাচ্ছেন না এ ‘ধর্মগুরু’। দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করছেন ৫০ বছর বয়সী রাম রহিম।
২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট (সোমবার) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিবিআই’র বিশেষ আদালত ধর্ষণের দায়ে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন। বিশেষ আদালতের বিচারক জগদীপ সিংহ এ সাজা ঘোষণা করেন। এরআগে গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন একই আদালত। তবে, সেদিন হরিয়ানার পঞ্চকুলায় স্থাপিত সিবিআই’র বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণা হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে রাজ্যের রোহটাক কারাগারের ভেতরে।
১৯৯৯ সালে ওই দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কাছে বেনামে যাওয়া চিঠিতে তোলা এ অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে ২০০২ সালে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এরপর সেই মামলার বিচার করতে হরিয়ানারই পঞ্চকুলায় বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়। ২০০৭ সালে শুনানি শুরুর মাধ্যমে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে গত শুক্রবার রায় ঘোষণা হয়। রায় ঘোষণার পর ভারতের সিরসা, পঞ্চকুলাসহ হরিয়ানাজুড়ে ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
ওএইচ/