বলা হচ্ছে, যে নভেম্বর থেকে ইরানি তেল আমদানি করলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়া হয়, সেই নভেম্বরেই ৯০ লাখ ব্যারেল ইরানি তেল আমদানি করবে ভারত।
শনিবার (৬ অক্টোবর) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের তেল আমদানি সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় তেল পরিশোধকরা নভেম্বর মাসে সাড়ে ১২ লাখ টন বা ৯০ লাখ ব্যারেল ইরানি তেল আমদানির অনুমোদন পেয়েছেন।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমদানির অনুমোদন পাওয়া তেলের ৬০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করবে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন আর ৩০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করবে ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস।
চলতি বছরের নভেম্বরের চার তারিখ থেকে ইরানি তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া ও ইরাকের দ্বন্দ্বে জড়িত থাকা এবং তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অভিযোগ তুলে ইরানের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট আর এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জ্বালানির প্রধান দু’টি অংশীদারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখছে ভারত।
খবরে বলা হয়, অক্টোবরে এক কোটি ব্যারেল ইরানি তেল আমদানি করবে ভারতীয় তেল পরিশোধকরা। তবে নভেম্বরে এ চালান কমে যাবে।
এর আগে বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকির পরেও ইরানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখে ভারত।
চীনের পর ইরান থেকে বেশি তেল আমদানি করে ভারত। ইরানে ‘চাবাহার’ নামে একটি বন্দর নিয়ন্ত্রণে নিতে কাজ করছে ভারত। ২০১৯ সাল থেকে বন্দরটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও কৌশলী সম্পর্ক অব্যাহত রাখছে ভারত।
বিশ্বে তেল সরবরাহের হিসাবে ইরাক ও সৌদি আরবের পরই ইরান। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশটি ১৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে বিশ্ববাজারে।
ইরানের সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত মে মাসে সরে যাওয়া ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, বিশ্ববাজারে এভাবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে ইরানের অর্থনীতি গতিশীলতা লাভ করছে। অথচ পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটন চাইছে তেহরানকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে ফেলতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এএইচ/আরআর