শনিবার (০৬ অক্টোবর) পালু শহরের উদ্ধারকারী তৎপরতায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য এ সর্তকতা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সুলাওয়েসি দ্বীপের এ অংশে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধার কার্যক্রম দলের মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ বলেন, উদ্ধার করা অধিকাংশ মরদেহগুলো অক্ষত নয়। উদ্ধারকারীদের জন্য এটা ভয়ানক। দূষণ এড়ানোর জন্য আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্ধারকারী দলকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। তাদের যাতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি না হয় এজন্য আরও সতর্ক থাকতে হবে। জনস্বাস্থ্যের জন্যও এটা উদ্বেগজনক।
উদ্ধার কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মধ্যেই ভয়াবহতার আটদিন পেরিয়ে গেছে। এখন জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। তবে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত বা বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
এদিকে গত শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দ্রুতই পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, পালুর দুই লাখেরও বেশি মানুষকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫শ’ লোকের প্রাণহানি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত দেশটিতে ২০০৪ সালে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দু’লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে প্রায় সোয়া লাখই ইন্দোনেশিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এএইচ/জেডএস