সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি খাদ্য, পুষ্টি চাহিদাসহ বিভিন্ন সংকট পূরণে এ সহায়তা সাহায্য করবে।
দ্য ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট নামক সংস্থা কক্সবাজারে ডব্লিউএফপি এর সহায়তায় ই-ভাউচার ও খাদ্য কর্মসূচি চালাচ্ছে।
দ্য ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের সেক্রেটারি পেন্নি মোরদাউত বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ সংকট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের রুপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ও মায়েদের পরিচর্যার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করছি। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ইউকে এইড।
প্রত্যেক মাসে ডব্লিউএফপি আট লাখের বেশি শরণার্থীকে খাদ্য সহায়তা দেয়। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখতে সাড়ে ছয় কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে সংস্থাটির।
২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো ব্যাপক সহিংসতার মুখে জীবন বাঁচাতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। দেশটির সেনাবাহিনীর এ কর্মকাণ্ডকে জাতিগত নিধণ বলে আখ্যা দেয় বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংগঠন। এদিকে গণহত্যা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সেনাসদস্যদের শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এএইচ