মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।
যদিও নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে না, তবে এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন রাজনীতির পরবর্তী দুই বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
মধ্যবর্তী এ নির্বাচনে ভোটাররা গর্ভনর, রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেটর নির্বাচন করবেন। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ৪৩৫টি আসনে, সিনেটের ১০০টি আসনের ৩৫টি আসনে এবং ৩৯টি স্টেট ও টেরিটোরিয়াল গর্ভনরশীপের ক্ষেত্রে ভোট দেবেন মার্কিন ভোটাররা।
বলা হচ্ছে, ডেমোক্রাটদের জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচনটি একটি সুযোগ। তারা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তবে ট্রাম্পের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মসূচিকে কোণঠাসা করতে পারবেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিবাসন, নারীর অধিকার, সুপ্রিম কোর্টের মনোনয়ন, স্বাস্থ্যসেবা প্রভৃতি।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দুই ডজনের বেশি আসন পেতে হবে ডেমোক্রাটদের। ফাইভ থার্টি এইট নামে একটি বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ক্ষেত্রে ডেমোক্রাটদের সুযোগ রয়েছে ৭৬ শতাংশ।
সিনেটের ১০০টির ক্ষেত্রে ৫১টি দখলে রয়েছে রিপাবলিকানদের। ফলে এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রিপাবলিকানদের ৬৬ শতাংশ সুযোগ রয়েছে।
পিউ রিসার্চ ইনস্টিটউটের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ভোটাররা মধ্যবর্তী এ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহী। এতে দেখা যায়, ৭২ শতাংশ ভোটার কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘিরে অভিবাসন, স্বাস্থ্যসেবাসহ বেশ কিছু ইস্যু ভোটারদের কাছে বেশ গুরুত্ব পাবে।
স্বাস্থ্যসেবা: মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ওবামার চালু করা ‘ওবামাকেয়ার’ অ্যাক্টের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকবেন।
সেপ্টেম্বরে পিউ রিসার্চের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ ভোটার স্বাস্থ্যসেবাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। ফলে এক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের থেকে ডেমোক্রাটরা ভোটে সুবিধা করতে পারবেন।
অভিবাসন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি দেশটিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। অভিবাসী শিশুদের মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে বেশতোপের মুখেও পড়তে হয়েছে ট্রাম্পকে। ফলে মধ্যবর্তী নির্বাচনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।
অভিশংসন: মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে ডেমোক্রাট ও রিপবলিকানরা অভিশংসনের ক্ষেত্রে সুযোগ নিতে পারবেন। এতে হয়তো ট্রাম্পকে নিয়ে তোলা বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধানও হতে পারে। ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে এরইমধ্যে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচিত হন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এএইচ/টিএ