বুধবার (১০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার রায়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ রায় নিয়ে তাদের অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিবিসির এ সংবাদের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘২০০৪ সালের সমাবেশে প্রাণঘাতী আক্রমণের জন্য বাংলাদেশে ১৯ জনের ফাঁসি। ’ খবরে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় ২০০৪ সালে রাজনৈতিক সমাবেশে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হামলার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালত ১৯ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ মামলার রায় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। রয়টার্সের শিরোনাম ছিল ‘২০০৪ সালের বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের যাবজ্জীবন দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত। ’
এছাড়াও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাও এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাদের সংবাদ শিরোনাম ছিল ‘২০০৪ সালের আক্রমণকে কেন্দ্র করে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত। ’
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২০০৪ সালে আক্রমণের জন্য ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ২০০৪ সালের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাদের সংবাদ শিরোনাম ছিল ‘রাজনৈতিক সমাবেশে আক্রমণের জন্য বাংলাদেশে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড। ’
খবরে বলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী আক্রমণের জন্য ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি ট্রাইব্যুনাল আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ২১ আগস্টের হামলার রায় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘২০০৪ সালে হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার জন্য বাংলাদেশে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সন্তানের যাবজ্জীবন।
সব সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদে ২১ আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহতদের কথাও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এএইচ