স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উদ্ধার অভিযান সমাপ্তের ঘোষণা দেন অনুসন্ধান ও উদ্ধার (এসএআর) অপারেশনের ফিল্ড পরিচালক পালু।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর প্রায় সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ আছড়ে পড়ে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরের উপকূলে।
তবে গত কয়েকদিন ধরেই উদ্ধার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, সুনামির ঘটনায় এখনও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই কাদামাটির নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে অভিযান সমাপ্ত করায় এবার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে। আর সুনামিতে চাপা পড়া বেলারোয়া, পেটোবো এবং জোনো ওজ এলাকায় ধীরে ধীরে পার্ক, স্পোর্ট ভেন্যু ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে।
জাতিসংঘ বলেছে, দেশটির পালুতে অন্তত দুই লাখ মানুষের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুপাতে এখনও বিশুদ্ধ পানীয় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ খুবই কম। আর আনুমানিক ৮০ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়ে ধসে যাওয়া বাড়ির বাইরে তাঁবু টানিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫শ’ লোকের প্রাণহানি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত দেশটিতে ২০০৪ সালে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দু’লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে প্রায় সোয়া লাখই ইন্দোনেশিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এপি/জেডএস