বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া ঊড়িষ্যা প্রদেশের চারটি জেলায় সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঊড়িষ্যার গোপালপুরের কাছে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় তিতলি।
এদিকে ঊড়িষ্যার গানজাম জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় বাড়ি ভেসে গিয়ে এক পরিবারের চার সদস্যসহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়াও পূর্ব উপকূলের রেলওয়ে অন্তত ছয়টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করেছে।
ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে ‘তিতলি’র তাণ্ডবের খবর দেয় স্থানীয় ও কলকাতাভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্ধ্রে প্রলয়কাণ্ড চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় গত দু’দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কক্সবাজারের শাহ পরীর দ্বীপে ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। শক্তিশালী ঝড়টির প্রভাবে রাজধানীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে পড়ায় বাংলাদেশে চার নম্বর থেকে সর্তকর্তা সংকেত তিন নম্বরে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ‘তিতলি’র প্রভাবে শুক্রবারও (১২ অক্টোবর) বৃষ্টি ঝড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এএইচ/জেডএস