রিয়াদ সরকারের মুখপত্র সৌদি প্রেস এজেন্সিতে (এসপিএ) এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ অক্টোবর) এই বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএতে।
সৌদি রাজতন্ত্রের কড়া সমালোচক জামাল খাশোগি সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে স্বদেশের কনস্যুলেটে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তুরস্কের দাবি, তাকে কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরব বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।
বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ও তার পুত্র ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচকের এই রহস্যময় ‘অন্তর্ধান’ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবির পর গত শনিবার (১৩ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার পেছনে সৌদির জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ সামনে আসে, তবে তাদের কঠিন শাস্তিতে পড়তে হবে।
এই বক্তব্যেরই পাল্টা হুমকি দিয়ে সৌদি সরকারের মুখপত্রে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যদি সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে এর পাল্টা বৃহৎ পরিসরের জবাব দিতে বদ্ধপরিকর রিয়াদ। ’
সৌদি অর্থনীতিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে ‘অপরিহার্য ও প্রভাবশালী’ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে অথবা কোনো রাজনৈতিক চাপের চর্চা করে সৌদি অর্থনীতিকে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা হলে সেটাকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করবে রাজসরকার। ’
এদিকে খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয় সৌদি আরব অস্বীকার করলেও এড়াতে পারছে না আন্তর্জাতিক চাপ। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্ব এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করছে বারবার।
এমনকি এ মাসের শেষ দিকে রিয়াদে অনুষ্ঠেয় বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন বর্জনেরও ঘোষণা দিয়েছেন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, ইংরেজ বিনিয়োগকারী রিচার্ড ব্র্যানসন, উবারের প্রধান নির্বাহী ডারা খোসরোসাহীও।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এইচএ/
** সৌদি আরব কি ফেঁসেই গেলো?