শনিবার (২০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১২০টি আসনের মধ্যে ৮০ জন প্রতিনিধি নাম পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেন, যা সংসদীয় আসনের দুই-তৃতীয়াংশ। এ ইস্যুতে এ সংখ্যক সংসদীয় ভোটের প্রয়োজন ছিল।
এর আগে মেসিডোনিয়ার নাম পরিবর্তন ইস্যুতে দেশটিতে গণভোটের আয়োজন করা হয়। যাতে প্রায় ১৮ লাখ ভোটার অংশ নেন।
চলতি বছরের জুনে গ্রিস ও মেসিডোনিয়া নাম পরিবর্তন নিয়ে চুক্তি সই করে। দেশটির ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর সদস্যপদ পেতেও প্রয়োজন নাম পরিবর্তনের।
গ্রিসের উত্তরের দেশ মেসিডোনিয়া, যা সাবেক যুগোশ্লাভিয়া নামে পরিচিত। দেশটির বিপক্ষে ‘মেসিডোনিয়া’ নাম ব্যবহারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। গ্রিসের একটি প্রদেশের নামও ‘মেসিডোনিয়া’।
তিন দশক ধরে আলোচনার পর এই চুক্তি সই করে দেশ দু’টি। চুক্তিতে ‘উত্তর মেসিডোনিয়া’ নাম রাখার পাশাপাশি জাতীয়তা, ভাষা, সীমান্ত, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে।
১৯৯১ সালে যুগোশ্লাভিয়া থেকে স্বাধীন হয় মেসিডোনিয়া। তখন থেকেই গ্রিস ও মেসিডোনিয়ার মধ্যে নাম নিয়ে বিতর্ক চলছে। তাদের নাম হয় প্রজাতান্ত্রিক মেসিডোনিয়া। কিন্তু এই নামকরণে মোটেই সন্তুষ্ট নন গ্রিকরা। দেশটির বিপক্ষে ‘মেসিডোনিয়া’ নাম ব্যবহারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ করে আসছে তারা। কারণ গ্রিসের একটি প্রদেশের নামও ‘মেসিডোনিয়া’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এএইচ/আরআর