সোমবার (২২ অক্টোবর) তুরস্কের একটি সংবাদমাধ্যমে এমন তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, সরকার বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নিহত হওয়ার আগে ৩৩ বছর বয়সী যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান তাকে টেলিফোন করেন।
ফোনে সৌদি যুবরাজ সালমান খাশোগিকে রিয়াদে ফিরে যাওয়ার জন্য রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন। খাশোগি যুবরাজের প্রস্তাবে রাজি হননি এই ভয়ে যে, সৌদিতে ফিরে গেলে তাকে গ্রেফতার ও পরে হত্যা করা হতে পারে। ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর ঘাতক টিম খাশোগিকে হত্যা করে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তুর্কি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, খাশোগির আঙুলগুলো কেটে ফেলার পর ঘাতকরা তাকে কনস্যুলেট ভবনের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে একটি টেবিলেন উপর রেখে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন।
২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হন খাশোগি। পরে সৌদি স্বীকারোক্তি দিয়ে দাবি করে, কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন খাশোগি।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এপি/টিএ