এতে অবশ্য মন ভেঙেছে সায়ারির। কিন্তু বিয়ের দিনটিতে প্রিয় বাগদত্তার প্রতি ঠিকই ভালোবাসার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।
তাই ১৩ বছরের ওই বাগদত্তা না থাকলেও বিয়ের দিন ঠিকই সেজেছিলেন বউয়ের সাজে। পরেছিলেন গাউনও। নিজে এক একা ও পরিবারের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন কতোগুলো। আর তা-ই যেনো স্বর্গে থেকে দেখছিলেন তার বাগদত্তা প্রাতামা!
এরপর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, প্রাতামার সঙ্গে আমার প্রেম ১৩ বছর ধরে। এটা আমার প্রথম প্রেম। শুরু থেকেই বিয়ে ঠিক ছিল আমাদের। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল ১১ নভেম্বর। এই বিয়ের আসরে যোগ দিতেই প্রাতামাকে বাড়িতে আসার কাথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে ‘জাভা সমুদ্রে’।
সায়ারি বলেন, প্রাতামার শেষ ইচ্ছে ছিল বিয়ের দিন যেনো আমি সাদা গাউন পরে বউয়ের সাজে সাজি। তাই আমি দিনটিতে সেজেছিলাম তার ইচ্ছে পূরণ করতে। এছাড়া তার দেওয়া বিয়ের রিংটিও আমার আঙুলেই ছিল।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, যদিও আমি খুব দুঃখ অনুভব করছি। কিছু বর্ণনা করতে পারছি না। তবুও আমি সেজেছি। তার জন্য হেসে হেসে ছবি তুলেছি। এখন আমি আর দুঃখী হতে চাই না। কেননা, তুমি (প্রাতামা) আমাকে সব সময় বলতে তোমার মতো মন শক্ত রাখা উচিত। এদিকে, সুয়ারির পোস্ট করা ওই ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে গেছে ভার্চুয়াল জগতে। অনেকই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে অনেক আবেগপ্রবণ কথা বলছেন।
২৯ অক্টোবর ১৮৯ আরোহী নিয়ে জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর আগে জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্লেনটি নিখোঁজ হয়।
ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের প্রধান শহর পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে সোমবার (২৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৩৩ মিনিট থেকেই প্লেনটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। যা মাত্র এক ঘণ্টা পরই ৭টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল।
প্লেনটিতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন। তাদের সবাই মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
টিএ