পাকিস্তানের জন্য সহায়তা বন্ধের সেই সিদ্ধান্তের পক্ষে এবার যুক্তি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কানাকড়িও করেনি।
নাইন-ইলেভেনের বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার পর আল কায়েদা নেতা বিন লাদেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। তাকে ধরার জন্য মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে অভিযানে গেলেও শেষ দিকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে বিন লাদেন লুকিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তবে ২০১১ সালে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন। অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়িটির কাছেই ছিল পাকিস্তানের সামরিক একাডেমি।
রোববার (১৮ নভেম্বর) ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পাকিস্তানকে তোপ দেগে বলেন, ‘দেখুন, পাকিস্তানে (বিন লাদেনের) এভাবে থাকা, এতো সুন্দর করে থাকা, আমার যেটা মনে হয় দারুণ বাড়ি, এতো চমকৎকার বাড়ি আর দেখেছি কি-না, বুঝতে পারছি না। পাকিস্তানের সামরিক একাডেমির পাশেই বসবাস করাটা, সেখানকার সবাই জানতো যে বিন লাদেন ওখানে আছে। ’
পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়ে এলেও তাদেরই শত্রু বিন লাদেনকে নিরাপদে লুকিয়ে থাকতে ইসলামাবাদ সাহায্য করেছিল উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে প্রতিবছর ১৩০ কোটি ডলার দিই... এবং পাকিস্তানে বিন লাদেন থাকে। বছরে এতো অর্থ দিয়ে আমরাই পাকিস্তানকে সহায়তা করছিলাম...যেটা আমাদের কখনোই দেওয়া উচিত ছিল না। যা হোক, শেষ পর্যন্ত আমি এটা বন্ধ করে দিয়েছি, কারণ তারা আমাদের জন্য কিছুই করেনি, একেবারে কানাকড়িও না। ’
ট্রাম্প জানান, শিগগির তিনি আফগানিস্তান ও ইরাকে দায়িত্বরত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে দেশ দু’টি সফরে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এইচএ/