আর মৃত ওই শিশুদের সংখ্যাটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহামের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংখ্যার সমান বলে জানিয়েছে বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান সেভ দ্য চিলড্রেন।
এ নিয়ে গত মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ইয়েমেনে খাবারের দাম বৃদ্ধি ও দেশের মুদ্রার মূল্যমানের পতন হওয়ায় মৃতদের পাশাপাশি আরও মানুষ খাদ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন।
দেশটিতে হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদিকে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন। এরপর বিমান হামলা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি জোট বাহিনী। পরে আস্তে আস্তে শুরু হয় আরও বড় যুদ্ধ-সহিংসতার।
জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ বেসামরিক সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ৭০০ জন।
এদিকে, দেশটিতে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের যদি দ্রুত চিকিৎসা না দেওয়া হয় তাহলে বছরে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ শিশু মারা যাবে বলে সতর্ক করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
টিএ