দেশটির চতুর্থ জাতীয় জলবায়ু বিশ্লেষণ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সময়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন, মানবস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, জীবনযাত্রার মান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের হারের ওপর বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে আসছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদপুষ্ট হবে নাকি হুমকি তা আজকের নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অর্থনৈতিক খাতে যে লোকসান হয়েছে তা এমন সমীকরণের ইঙ্গিত দেয় যেখানে চলতি শতক শেষে কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়বে (যুক্তরাষ্ট্র) যার পরিমাণ বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের জাতীয় উৎপাদন জিডিপির থেকেও বেশি।
তবে এই প্রতিবেদনকে ‘ভুল’ বলছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়ালটার্স বলেন, (এই প্রতিবেদন) চরম পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটের অনুমানে তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে অনুমান করা হচ্ছে যে, জনসংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে, কিন্তু নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন হবে না।
তবে পরিবেশবাদীরা বলছে, এই প্রতিবেদন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবাশ্ম জ্বালানি পরিকল্পনাবিরোধী হওয়ায় সেটির সমালোচনা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএইচএস/এএ