ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মহাকাশ গবেষণায় ‘পালাবদল’ করতে যাচ্ছে ভারত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
মহাকাশ গবেষণায় ‘পালাবদল’ করতে যাচ্ছে ভারত মাহাকাশ যাত্রার কেন্দ্র থেকে ফ্লাইট উড্ডয়ন, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আরও এগিয়ে গিয়ে অন্যান্য দেশকে টপকে মহাকাশ গবেষণায় ‘পালাবদল’ করতে যাচ্ছে ভারত। এজন্য আসছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশটি মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রায় প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইএসআরও) প্রধান কে সিভান।

আর এতে করে বিশ্বে মহাকাশ গবেষণায় অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বিশাল যাবে ভারত।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) আইএসআরও প্রধান বলেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প ‘গগনযান’ অভিযান সফল করতে সাহায্য করবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

আর এই প্রকল্প সফল হলে গোটা বিশ্বের মধ্যে মাহাকাশে নিজস্ব প্রযুক্তিতে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে চতুর্থ জাতি হবে ভারতীয়।

এর আগে ২০১৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো গগনযান প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের একটি পুত্র বা কন্যা মহাকাশে যাবে।

এছাড়া শিগগির ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযানেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কে সিভান। তিনি বলেন, এ বছরেরই ২৫ মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে ‘চন্দ্রযান-২’ চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ ৮০০ কোটি রুপি।

পরে গগনযান প্রসঙ্গে আইএসআরও প্রধান বলেন, গত মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, ২০২২ সালে সাতদিনের জন্য মহাকাশে যাবে ভারতীয় মহাকাশচারীদের একটি দল। আর গগনযান নামের এ প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি রুপি খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তাছাড়া মন্ত্রী এও বলেছিলেন, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের হরিকোটা থেকে বড় রকেট চেপে মহাকাশে যাবেন মহাকাশচারীরা।

কে সিভান বলেন, মহাকাশ অভিযান যাতে সুন্দরভাবে সফল হয়, তার জন্য ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারতকে সাহায্য করতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাছাড়া মহাকাশচারীদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ভারতেই দেওয়া হবে। পরে তাদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আর এ মহাকাশচারী দলে নারীও রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 এদিকে, মানুষের মাহাকাশ যাত্রার কেন্দ্রে উন্নত প্রযুক্তি নির্মাণ করতে এ পর্যন্ত ১৭৩ কোটি রুপি খরচ করেছে আইএসআরও। যদিও অনেক আগেই এ এসব প্রযুক্তি প্রায় প্রস্তুত হয়েছিল, কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির এ অভিযান পিছিয়েছে। পরে ২০০৭ সালে প্রথম এ সংক্রান্ত পরীক্ষা শুরু করে আইএসআরও।

২০১৪ সালে আধুনিক মহাকাশ যান তৈরির কাজ শুরু করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।