জাতিসংঘ বলেছে, ভূমধ্য সাগরের লিবিয়া উপকূলে ১১৭ জন এবং মরক্কো উপকূলে ৫৩ জন মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নৌযানের ধ্বংসাবশেষ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জনুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭০ অভিবাসীর মধ্যে ভূমধ্যসাগরের পশ্চিমাঞ্চলের আলবার্ন সাগরে ৫৩ জন মারা গেছেন।
জানা গেছে, মরক্কোতে নৌযান ডোবার পর একজনকে উদ্ধার করতে পারে একটি মাছ ধরার নৌকা। আলবার্ন সাগরে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার লড়াই করে শেষপর্যন্ত জেলেদের সাহায্যে স্থলে আসেন এই অভিবাসী। তাকে মরক্কোতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায় নৌযান ডোবার বিষয়ে।
ইউএনএইচসিআর বলছেন, মরক্কো এবং স্প্যানিশ উদ্ধারকারীরা নৌযানটির যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু তারা জীবিত অথবা মৃত কাউকেই উদ্ধার করে পারেননি। বেশ কয়েকদিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তারা সফল হতে পারেননি।
এদিকে, শনিবার রাতে বেসরকারি সংস্থা সি ওয়াচ বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় নৌপথ এলাকা (লিবিয়া) থেকে মাত্র তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তারা বেঁচে থাকার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করছিলেন।
উদ্ধার করা ওই তিন যাত্রীর বরাত দিয়ে সি ওয়াচ মিশনের প্রধান কিম হিয়েটন হাইদার জানিয়েছেন, উদ্ধার করা তিনজন বলেছেন, লিবিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌযানে ১২০ অভিবাসী ছিলেন। তার মধ্যে ১১৭ জন নিখোঁজ আছেন। এছাড়া তারা মারা গেছেন বলেও আশঙ্কা করছেন এ তিনজন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বলছে, ইতালীয় নৌবাহিনীর প্লেন যাওয়ার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় আগ পর্যন্ত কোনো সহায়তা ছাড়া ওই তিন অভিবাসী সাগরে অবস্থান করছিলেন।
এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ইউএনএইচসিআর।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
টিএ