ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
মিয়ানমার সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের আহ্বান

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য রাখাইন ও এর উত্তরের রাজ্য চিনে নতুন করে সহিংসতার জেরে সেখান থেকে যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চাইছে, তাদের জন্য সীমান্ত খুলে রাখতে ঢাকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক এ আহ্বান জানান।  

কয়েকদিন ধরে রয়টার্স-আল জাজিরাসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী দমনে’ রাখাইন-চিনে অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

এতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে চলে এসেছেন শত শত মানুষ। তবে বাংলাদেশের তরফ থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্তে সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। বিজিবি সতর্কাবস্থানে আছে। যারাই আসুক, তাদের আসা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দ্রেজ মাহেসিক বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন ও চিনে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির খবর ইউএনএইচসিআরের নজরে এসেছে। সেখানে অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং এদের একটি অংশ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা বান্দরবানে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

সংস্থার এ মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারে চলতে থাকা সহিংসতার জেরে আরও মানুষ গৃহহীন হওয়া এবং শরণার্থীদের ঢল নামার ব্যাপারে যে শঙ্কা জাগছে, তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ইউএনএইচআর।  

মাহেসিক বলেন, আন্তঃসংস্থা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউএনএইচসিআর মিয়ানমারের সহিংসতাপ্রবণ এলাকায় মানবিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। সেজন্য যেসব মানুষ সহিংসতার মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয় পেতে এসেছেন তাদের বিষয়টি তদারকি করে প্রয়োজন মেটানোর কাজে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউএনএইচসিআর।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বলেন, গত ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিমুখে এখন পর্যন্ত যে ৭ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছেন, তাদের গ্রহণের ক্ষেত্রে ঢাকার সরকারের উদারতা ও নেতৃত্বের জন্য ইউএনএইচসিআর কৃতজ্ঞ। এখন যেসব মানুষ মিয়ানমার থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে আসছে তাদের গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।