বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে উভয় পক্ষই আশা করছে বৈঠকটি দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে এবং পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।
বুধবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে প্রথম দিনের বৈঠক শেষে একসাথে রাতের খাবার খেয়েছেন ট্রাম্প ও কিম।
সেই সময় ট্রাম্প বলেন, যদিও সমালোচকরা বলছেন আমাদের আলোচনা ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই গতিতে আমি খুব সন্তষ্ট।
অন্যদিকে বৈঠক শুরুর আগে হোটেল মেট্রোপোলে ট্রাম্প বলেন, আলোচনার দ্রুততা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি অবশ্যই প্রসংশনীয় যে, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের পারমাণবিক রকেট, মিসাইল কিংবা এই জাতীয় কিছুর পরীক্ষা চালায়নি। আমরা চাই একটি সঠিক চুক্তি হোক।
২০১৭ সালে থেকে কোনো ধরনের পারমাণবিক কিংবা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষণ চালায়নি উত্তর কোরিয়া।
চুক্তির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কিম বলেন, এত দ্রুতই এ কথা বলা যাচ্ছে না তবে এর মানে এই না যে, এটি হতাশাপূর্ণ। ভালো ফলাফল হবে বলেই এই মুহূর্তে আমি অনুভব করছি।
তবে আশা থাকা সত্ত্বেও প্রথম বৈঠকের ৮ মাস পরে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বৈঠকে পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণের কোনো নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ জানায়, মেট্রোপোল হোটেলে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বৈঠকটির স্থায়িত্ব হবে ৪৫ মিনিট। বৈঠক শেষে একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এরপর ট্রাম্প একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। তবে চুক্তিতে কি থাকবে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয়নি হোয়াইট হাউজ।
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রথম বার বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প এবং কিম। সেই বৈঠকের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতির আলো দেখা যায়। এ দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হলে বিশ্বের বহু দেশই এর সুফল ভোগ করবে।
অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকটি উভয় দেশের সম্পর্কে আরো উন্নতি বয়ে আনবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএ/এমজেএফ