শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে অভিনন্দনকে ভারতের মাটিতে ফেরত পাঠানোর পর কাশ্মীর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় এ গোলাগুলির খবর দেয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, রাতভর পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে পুঞ্চ জেলা সীমান্তে রুবানা কোসার (২৪) নামে এক নারী এবং তার দুই শিশু সন্তান ফাজান (৫) ও শবনমের (৯ মাস) প্রাণ যায়।
কর্মকর্তারা বলছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হাওইটজার ১০৫ এমএম এবং মর্টার বোমাসহ ভারী বন্দুক নিয়ে বেসামরিক বসতিকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী এর উপযুক্ত জবাব দেবে।
আরও কয়েকটি এলাকায়ও এভাবে গোলাগুলির খবর দিয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
রাতে যখন অভিনন্দনকে পাঞ্জাবের ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা চলছিল, তার আগেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি’ লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়।
সেদিন সকালেই মানকোট এলাকায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে এক নারী আহত হন বলে খবর দেয় নয়াদিল্লিভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
গত আটদিন ধরেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সালত্রী, মালকোট, কৃষ্ণাঘাঁটি ও বালাকোট এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে থেমে থেমে গোলাবর্ষণ করে চলেছে দাবি তাদের। সেজন্য স্থানীয় স্কুলগুলোকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধও করেছেন কর্মকর্তারা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাকিস্তান।
দু’দেশের মধ্যে যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল, তা পাইলটকে ফেরত দেওয়ার মধ্য দিয়ে কিছুটা ‘প্রশমিত’ হলেও পাকিস্তানের এ ধরনের গোলাগুলিকে ‘প্ররোচনামূলক’ বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এসএ/এইচএ/