মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছে দি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব সিঙ্গাপুর (সিএএএস)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঁচ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স৮’ মডেলের প্লেনের দু’টি মারাত্মক দুর্ঘটনার জেরে আমরা এর সব ধরনের চলাচল সাময়িকভাবে বাতিল করছি।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের রিজিওনাল উইং সিল্ক এয়ার ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স৮’ মডেলের ৬টি প্লেন পরিচালনা করে। পাশাপাশি চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, গারুদা ইন্দোনেশিয়া, শেনডং এয়ারলাইন্স এবং থাই লায়ন এয়ারলাইন্সও সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট পরিচালনায় এই মডেলের প্লেন ব্যবহার করে থাকে।
সাময়িক এ নিষেধাজ্ঞার সময়ে প্লেনটির ঝুঁকি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে পর্যালোচনা করবে সিএএএস।
অন্যদিকে ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স৮’ এর ব্যবহার বন্ধ রেখেছে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ।
এ ব্যাপারে জেট এয়ারওয়েজের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের বহরে ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স৮’ এর ৫টি প্লেন রয়েছে। বর্তমানে সেগুলো আমরা বন্ধ রেখেছি। সমস্যা সমাধান ও প্লেনের উন্নয়নের ব্যাপারে আমরা বোয়িংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমান বন্দর থেকে ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ উড়াল দেওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যেই ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে বিধ্বস্ত হয়। এতে ফ্লাইটের ১৫৭ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন, যারা ছিলেন ৩৩টির বেশি দেশের নাগরিক।
নতুন মডেলের বিধ্বস্ত এয়ারক্রাফটি মাত্র চার মাস আগে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়। ২০১০ সালেও বৈরুত থেকে উড্ডয়নের পর ভূমধ্যসাগরে এয়ারলাইন্সটির একটি প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের প্লেনটিও একই মডেলের ছিলো। ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮৯ আরোহীর মৃত্যু হয়।
বিশ্বের বহু দেশই বর্তমানে ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স৮’ এর ব্যবহার বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে বোয়িংকে এ মডেলের প্লেনের আরো উন্নয়ন করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে অনেক এয়ারলাইন্স তাদের বহরে থাকা মডেলের প্লেনে এখনও আস্থা রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এসএ/জেডএস