এছাড়া হামলায় তার চাচাতো বোনের জামাই ও এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি এখন তাদের খুঁজে ফিরছেন।
ওই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রমজান আলী স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বন্দুকধারীর গুলিতে আমার আশপাশে অনেকেই মারা গেছেন। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া সম্ভবত আমিই শেষ ব্যক্তি। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে বের করে এনেছেন।
৬২ বছর বয়সী আলী বলেন, হ্যাগলি পার্কের ওই মসজিদে আমরা নিয়মিত শুক্রবারের নামাজ আদায়ে আসি। ঘটনার সময় মসজিতে অন্তত তিনশ মুসল্লি ছিলেন।
‘আমি দেখি মসজিদের দুই দরজা থেকে লোকজন ছোটাছুটি করে ভেতরের দিকে আসছেন। এতো সংখ্যা মানুষের একসঙ্গে দুই দরজা দিয়ে বের হয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার বন্দুকধারী প্রধান দরজা দিয়ে গুলি করতে করতে ভেতরে প্রবেশ করছেন। তবে মসজিদে প্রবেশের আরো দু’টি ভিন্ন পথ রয়েছে,’ বলেন আলী। আমি একটি বেঞ্চের পেছনে থাকলেও আমার পা দেখা যাচ্ছিলো।
আলী বলেন, একপর্যায়ে কয়েক মুর্হূতের জন্য গুলি থামলেও পরে আরো বেশি গুলিবর্ষণ হতে থাকে। পাশে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও হামলাকারী আমার সামনে ফের ওই ব্যক্তির বুকে গুলি করে।
আমিই মনে হয় বেঁচে ফেরা সবশেষ ব্যক্তি উল্লেখ করে আলী বলেন, আমি বেঁচে ফিরলেও আমার ভাই আশরাফ নিখোঁজ রয়েছেন। চারপাশে মরদেহ দেখেছি। আমি আমার ভাইকে দেখিনি। আশা করি সে বেঁচে আছে।
ফিজির বংশোদ্ভূত রমজান আলী ১৯৮৯ সালের নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান। আর গত পাঁচ বছর ধরে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ মানুষের শহর ক্রাইস্টচার্চে।
এদিকে হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ব্রেন্টন ট্যারেন্টসহ মোট চারজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টনের বয়স ২৮। হামলার ঘণ্টা কয়েক আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে ৭৩ পৃষ্ঠার ম্যানিফোস্টো প্রকাশ করেন ওই হামলাকারী। যাতে তিনি হামলার কারণ উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫,২০১৯
জেডএস