টুইট বার্তায় ফেসবুক জানিয়েছে, হামলাটির প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ভিডিওটির ১.৫ মিলিয়ন কপি আমরা মুছে ফেলেছি। এর মধ্যে ১.২ মিলিয়ন কপি আপলোডের সময়ই আটকে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমরা হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্বেগের কারণে সংশ্লিষ্ট এডিট করা সব ভিডিও মুছে ফেলতে কাজ করছি।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে ডিনস অ্যাভ মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে এ হামলা হয়। এতে নিহত হন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন।
নামাজ শুরুর ঠিক ১০ মিনিট পর একজন বন্দুকধারী সেজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্টাফ ডট কো জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী সামরিক পোশাক পরে মসজিদে প্রবেশ করেন। এরপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে তিনি মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের লক্ষ্য করে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করে পালিয়ে যান।
এদিকে, নিজেই এর ভিডিও করে, তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন হামলাটির সন্দেহভাজন মূলহোতা ব্রেন্টন ট্যারেন্ট (২৮)।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি না দেখতে অনুরোধ করেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরর্ডার্ন বলেছেন, তিনি লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা করতে চান।
নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচনা করা হয়। সে দেশটিতে এমন ভয়ঙ্কর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন অনেক বিশ্ব নেতা। সেইসঙ্গে দেশটিকে প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসএ/টিএ