মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বন্দরনগরী বেইরায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ তথ্য দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপে নয়ুসি।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে মোজাম্বিকে প্রাণহানির মোট সংখ্যা ২০২ বলে নিশ্চিত করেছেন নয়ুসি।
চলমান এ সংকটে মোজাম্বিকে বর্তমানে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে শুরু করে দেশটিতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় শোকও ঘোষণা করা হয়েছে।
নয়ুসি বলেন, আমরা খুবই কঠিন সময় পার করছি। বিগত দিনগুলোতে বন্যার পানি প্রায় ৮ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আমাদের ধারণা ছিলো।
এদিকে সোমবার (১৮ মার্চ) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট নয়ুসি।
গত ১৪ মার্চ মোজাম্বিকের বন্দরনগরী বেইরায় এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ভূমি ধসের ঘটনাও ঘটে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলা ১৭৭ কিলোমিটার। তবে সাহায্যকারী দল ওই শহরে পোঁছায় রোববার (১৭ মার্চ)।
জাতিসংঘের কর্মীরা বলছেন, বেইরার প্রত্যেকটি বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই শহরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। কোনো না কোনোভাবে প্রত্যেকই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফও) জিরাল্ড বোর্ক বলেন, শহরের কোনো ভবনই অক্ষত নেই। ওই এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল নেই। সড়কে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ বাড়ির ছাদ দেয়ালের মতো পড়ে আছে। এই শহরে প্রচুর মানুষ তাদের বাসস্থান হারিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’য়ের আঘাতে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক, মালাওয়ি ও জিম্বাবুয়েতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে প্রায় ৩৫০ জনের। এতে নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। আর এখনও ঝুঁকির সম্মুখে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশগুলোর চলমান সংকট মোকাবেলায় দেশটির জন্য ২০ মিলিয়্ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এসএ/এমজেএফ