বুধবার (২০ মার্চ) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পাকিস্তান নিজেদের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, প্রধানত ‘জইশ-ই-মুহম্মদের’ ও লস্কর-ই-তৈয়বার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে- এটা আমরা দেখা চাই। পুনরায় এ অঞ্চলে আমরা উত্তেজনা শুনতে চাই না।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের কারণে ওই অঞ্চলে আবার নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেবে- এটা আমরা মেনে নেবো না। পাকিস্তান যদি জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, আর প্রতিবেশী দেশে বারবার হামলা হয়, তাহলে সেটা কারও জন্য ভালো নয়। তাই এটা পাকিস্তানের জন্য ‘বড় সমস্যার’ কারণ হয়ে উঠতে পারে।
এর আগে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফ-এর গাড়িবহরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসময় তিনি বলেছিলেন, আমি বিষয়টির খেয়াল রাখছি। প্রতিনিয়ত এ ঘটনার খবর পাচ্ছি। এশিয়া দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। তবে ‘চমৎকার’ হবে যদি প্রতিবেশী দুইটি দেশ এক হয়ে সস্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
ভারতে হামলাটির পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স পৃথক বিবৃতি দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এও বলছেন, পাকিস্তানের বিষয়টি নিয়ে এখনও পুরোপুরি আলোচনার সময় আসেনি। পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে দেশটি। এসব ব্যাপার আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
টিএ