বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ কথা জানিয়েছেন দেশটির ভূমি ও পরিবেশ মন্ত্রী সেলসো কোরিয়া।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোজাম্বিকের বন্দরনগরী বেইরা। তবে সাহায্যকারী দল শহরটিতে পোঁছায় রোববার (১৭ মার্চ)।
চলমান এ সংকটে মোজাম্বিকে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে শুরু করে দেশটিতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় শোকও ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মীরা বলছেন, বেইরার প্রত্যেকটি বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই শহরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। কোনো না কোনোভাবে প্রত্যেকই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফও) জিরাল্ড বোর্ক বলেন, শহরের কোনো ভবনই অক্ষত নেই। ওই এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল নেই। সড়কে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ বাড়ির ছাদ দেয়ালের মতো পড়ে আছে। এ শহরে প্রচুর মানুষ তাদের বাসস্থান হারিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’য়ের আঘাতে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক, মালাওয়ি ও জিম্বাবুয়েতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে প্রায় ৩৭০ জনের। এতে নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। আর এখনও ঝুঁকির সম্মুখে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশগুলোর চলমান সংকট মোকাবেলায় দেশটির জন্য ২০ মিলিয়্ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এসএ/এমজেএফ