আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, এভারেস্ট জয় করতে চেয়েছেন অনেকেই। কেউ পেরেছেন, কেউ পারেননি।
হিমালয়ের উত্তর দিক বা চীনা পাশ দিয়ে মরদেহ উদ্ধার শুরু হয়েছে। তবে বর্তমানে পর্বতারোহণের মৌসুম হলেও মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া চীনা দিক দিয়েই বেশি মরদেহ বের হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি এ পর্যন্ত চার হাজার ৮০০ এর বেশি পর্বতারোহী জয় করতে পেরেছেন। কিন্তু পর্বতের বিপজ্জনক পথ অতিক্রম করতে গিয়ে মাঝপথে বা শেষপথে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। এদের বেশির ভাগ মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নেপালের মাউন্টেনারিং অ্যাসোসিয়েশনের (এনএমএ) সাবেক সভাপতি আং শেরিং শেরপা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের কারণে খুম্ব হিমবাহের বরফের স্তর দ্রুত গলে যাচ্ছে। আর এতে বছরের পর বছর চাপা পড়ে থাকা মরদেহগুলো বেরিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মারা যাওয়া বেশ সংখ্যক পর্বতারোহীর মরদেহ আমরা নিচে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এর আগের সময়ের এবং সাম্প্রতিককালে রয়ে যাওয়া বেশিরভাগ মরদেহ এখন বেরিয়ে আসছে। যা আগে উদ্ধার করা সম্ভর হয়নি। তবে এসব মরদেহ উদ্ধারে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে। একইসঙ্গে এর জন্য খরচও পড়ছে ‘পাহাড় সমান’। বরফে আটকে থেকে একেকটি মরদেহের ওজন হয়েছে প্রায় ১৫০ কেজি। এমন একটি মরদেহ নামাতে খরচ পড়ছে ৩৪ থেকে ৬৭ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
টিএ