শনিবার (৩০ মার্চ) এ তথ্য দিয়েছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সরকারের কর্তৃপক্ষ।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’ এ প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে এবং মালাওয়ির সাত শতাধিক মানুষ।
তবুও যেন মুক্তি মিলছে না আফ্রিকার এ দেশটির মানুষের। কারণ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কলেরার প্রাদুর্ভাবে নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোজাম্বিকের বন্দর নগরী বেইরায় কলেরায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ থেকে ২৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
তবে রোগটি যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য কাজ করছে সরকার ও বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা।
দেশটির ভূমি ও পরিবেশমন্ত্রী সেলসো কোরিয়া জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২৭১ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
কোরিয়া বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এমন তথ্য এখন পর্যন্ত নেই। তবে চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে এ রোগের উপসর্গে দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় শেষে মানুষজন কলেরায় আক্রান্ত হতে পারে বলে আমাদের আগে থেকে ধারণা ছিল। তাই আগে থেকেই এর মোকাবিলায় প্রস্ততি শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) দেশটিতে প্রায় নয় লাখ কলেরা প্রতিষেধক টিকা এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা তারিক জাসারেভিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এসএ/আরআর