বুধবার (০৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের হেলথ এফেক্ট ইনস্টিটিউটের (এইচইআই) প্রকাশিত ‘স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার রিপোর্ট (এসওজিএ)-২০১৯ বলছে, সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর যে আয়ু পায়, পরে বায়ুদূষণের কবলে পড়ে, তা থেকে অন্তত ২০ মাস কমে যায়।
রিপোর্টটি বলছে, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী নানা রোগে পড়ে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
বায়ুদূষণে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তবে মৃত সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বিশ্বের ১০টি দেশে। এই ১০ দেশের মধ্যে আবার ছয়টিই এশিয়ার। ভারত-চীন ছাড়া এশিয়ার আর চারটি দেশ হলো- পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন। এদিকে, ১০টি দেশের মধ্যে বাকি চারটি দেশ হলো- আফ্রিকার নাইজেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল। ২০১৭ সালে বায়ুদূষণে পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছিল এক লাখ ২৮ হাজার মানুষের। এ বছর ইন্দোনেশিয়ায় এক লাখ ২৪ হাজার, বাংলাদেশে এক লাখ ২৩ হাজার ও ফিলিপাইনে ৬৩ হাজার মানুষ মারা গেছেন বায়ুদূষণ থেকে সৃষ্ট নানা রোগে পড়ে।
আর যুক্তরাষ্ট্রে মারা গিয়েছিলেন এক লাখ আট হাজার মানুষ। রাশিয়াতেও ৯৯ হাজার মানুষ অকালে মারা গেছেন বায়ুদূষণের কারণে। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৬৬ হাজার মানুষ।
এসওজিএ রিপোর্ট আরও বলছে, অপুষ্টি, মদ্যপান, ম্যালেরিয়া, এমনকি সড়ক দুর্ঘটনার চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন বায়ুদূষণে ধুঁকে ধুঁকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
টিএ