বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটা জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে হাউজ অব কমনসে এমপিদের ভোটে এ প্রস্তাব পাস হয়।
বিবিসি-র খবরে বলা হয়ছে, পাস হওয়া প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হতে উচ্চকক্ষ লর্ডসের অনুমোদন লাগবে। এরপরই মূলত সিদ্ধান্ত হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বাড়ানোর প্রস্তাবের সময় বাড়বে কিনা।
কোনো চুক্তি ছাড়া যেন ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসতে না হয়, সেজন্য স্থানীয় বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়।
এর মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সময় বাড়ানোর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৩১২। আর পক্ষে ৩১৩ ভোট দিয়েছেন এমপিরা। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে চাপ প্রয়োগ করা হবে যাতে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া কার্যকরের জন্য সময় বাড়াতে ইইউ’র কাছে তিনি আবেদন জানান।
তবে নতুন এই প্রস্তাব আইন হিসেবে প্রণয়নের জন্য অবশ্যই উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসের অনুমোদন লাগবে। অবশ্য ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন আসতে হবে ইইউ-এর পক্ষ থেকেই।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ও লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কারবেনের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনার পরই হাউজ অব কমনসে এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
দুই নেতার মধ্যে এ আলোচনাকে বুধবার (০৩ এপ্রিল) ‘গঠনমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এমপিরা। তবে উভয়র সমালোচনাও করেন তারা।
সম্প্রতি ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন বারক্লে বলেন, সরকার চুক্তির মাধ্যমে ইইউ থেকে বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) চায়। দুঃখজনক বাস্তবতা হলো ক্ষমতাসীন দলের ৩৫ জন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর চুক্তিতে সমর্থন দিতে এখনো অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। যে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত নমনীয় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থীদের শর্ত মেনে নিয়ে চুক্তি পাস হলে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন মে।
ইইউয়ের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রেক্সিট কার্যকরে দীর্ঘ ১৮ মাসের চেষ্টায় একটি চুক্তি সম্পাদন করেন প্রধানমন্ত্রী মে। কিন্তু তিনবার চেষ্টা করেও তিনি সেই চুক্তি সংসদে পাস করাতে পারেননি।
গত ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকরের কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ রাজনীতিকদের অনৈক্যের কারণে তা হয়নি। দিনটি পিছিয়ে এখন ১২ এপ্রিল নির্ধারিত রয়েছে।
এর আগে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত যাচাইয়ে পার্লামেন্টে বিভিন্ন বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। কিন্তু দুই দফা ভোটাভুটির পরও বিকল্প কোনো প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত পায়নি।
যুক্তরাজ্য আবেদন জানালে ও ইইউ তাতে সম্মতি দিলে ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ আবারও পেছাবে। অন্যথায় চুক্তি ছাড়াই ওইদিন ব্রেক্সিট কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমএ/