তবে এখনও অনেক নাগরিক সহিংসতার ভেতরে আটকে রয়েছেন। যারা জরুরি সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
জাতিসংঘ বলছে, চলমান সংকটের কারণে ত্রিপোলি ছেড়েছেন এ পর্যন্ত দুই হাজার ৮০০ মানুষ।
দেশটিতে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) থেকে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাত শুরু হয়। জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বে হামলা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।
দেশের প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল-সিরাজ অভিযোগ করেছেন, জেনারেল হাফতার সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন। বিদ্রোহীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সরকার বলছে, সংঘর্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং জেনারেল হাফতার বাহিনীর দাবি, তারা অন্তত ১৪ জন যোদ্ধা হারিয়েছে।
এছাড়া শনিবার (০৬ এপ্রিল) হত্যা করা হয়েছে রেড ক্রিসেন্টের এক ডাক্তারকে।
ক্ষমতাধর দেশগুলো এরইমধ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় লিবিয়া থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
এর আগে, জাতিসংঘ দুই ঘণ্টা সংঘাত বিরতির আহ্বান জানায়, যাতে হতাহত এবং বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ সংঘাত অবসানের ঘোষণা দেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ত্রিপোলির বিরুদ্ধে এই একতরফা সামরিক অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের বিপন্ন করছে এবং লিবিয়ার সব নাগরিকের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।
বাংলাদেশ সময়; ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
টিএ