সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে ইরান প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে আইআরজিসিকে ব্যবহার করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বারাক ওবামা থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তির কড়া সমালোচক ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই সে চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে সরিয়ে নেন।
হোয়াইট হাউসের দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ এমন বাস্তবতাকেই স্বীকৃতি দেয় যে- ইরান কেবল রাষ্ট্র হিসেবেই সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক নয়, তাদের আইআরজিসি শাসকদের যন্ত্র হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে এবং অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, এই ঘোষণার ফলে ইরানের ওপর চাপ সর্বোতভাবে বাড়বে, যেটার তাৎপর্য অনেক।
আইআরজিসির সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, কেউ যদি আইআরজিসির সঙ্গে লেনদেনে থাকে, তবে সে সন্ত্রাসে অর্থায়ন করছে বলেই ধরা হবে।
ট্রাম্পের বিবৃতির পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘোষণা এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যকর হবে।
এই ঘোষণা নিয়ে ইরান অবশ্য এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের তেহরান বলেছিল, ইরান এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
এইচএ/