তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে, ত্রিপোলির একমাত্র সচল বিমানবন্দরে হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জেনারেল হাফতার বাহিনীর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেসামরিক প্লেনগুলোর ওপর আমাদের টার্গেট ছিলো না।
গত সপ্তাহে লিবিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের হাত থেকে রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দেন দেশটির সেনাবাহিনীকে (এলএনএ) নেতৃত্ব দেয়া জেনারেল হাফতার। প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল-সিরাজের অভিযোগ, দেশটিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন জেনারেল হাফতার।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে হামলা-সংঘর্ষে উত্তাল ত্রিপোলি ছেড়ে গেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। শহরে আটকা পড়া মানুষেরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের খলিফা জেনারেল হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বাহিনী (এলএনএ) আগের প্রশাসনকে সমর্থন করছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারা।
এরই জের ধরে গত সপ্তাহ থেকে পশ্চিমে ত্রিপোলির দিকে অগ্রসর হচ্ছে হাফতারের বাহিনী।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর দেশটির বাসিন্দারা সরকার ও সরকারের সমান্তরালভাবে চলা পূর্বভিত্তিক এলএনএ বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই দেখে আসছে।
এসব ঘটনায় চলমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ–সমর্থিত লিবিয়ার প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ মুস্তফা আল সিরাজ ও হাফতারের মধ্যে সমঝোতা চেষ্টা করেছিল জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
গত মাসে দুবাইয়ে এক বৈঠকে তাদের দুইজনের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়। হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, দেশ দুটি থেকে সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকেন হাফতার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এমএ/