সোমবার (০৮ এপ্রিল) ক্রেমলিনে এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের দুই দেশ বা উভয়পক্ষকে একে অপরের সামরিক-প্রযুক্তিগত কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।
এসময়ই দুই প্রেসিডেন্ট তুরস্কে রাশিয়ার উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র (এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা) বেচাকেনার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পুতিন বলেন, তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চুক্তি পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন করা আমাদের প্রথম বিবেচনার বিষয়।
তিনি এও বলেন, আগে তুরস্কে এস-৪০০ সরবরাহ। এরপরে তুরস্কের সঙ্গে অন্যান্য প্রুতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ২০১৯ সালের মধ্যে তুরস্কে হস্তান্তর করবে রাশিয়া। তুরস্কও এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও রাশিয়ার এই অস্ত্র কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাপ আসছে তুরস্কের ওপরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিজেদের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য বড় হুমকি। তাই তারা বলছে, তুরস্ক যদি রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনে, তাহলে তাদের (তুরস্ক) সঙ্গে করা আমাদের যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ চুক্তি বাতিল হয়ে যেতে পারে।
১৯৯৯ সালে ১০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছিল তুরস্ক। এর মধ্যে মাত্র একটি যুদ্ধবিমান তুরস্কে সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
টিএ