সোমবার (০৮ এপ্রিল) থেকে মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা বর্ষণে তলিয়ে যায় শহরের রাস্তাঘাট। সড়কগুলো রূপ নেয় খরস্রোতা নদীতে।
বন্যায় শহরটির দক্ষিণে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান কোপাকাবানা ও ইপানেমাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে ভেসে গেছে বাড়িঘর ও দোকানপাট।
সাম্প্রতিক সময়ে এমন দুর্যোগ আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন রিও’র বাসিন্দারা।
সেখানকার গিলেরমো ডি অলিভেরা নামে ৫৯ বছর বয়সী এক লোক বলেন, আমি স্বচক্ষে এমন বিপর্যয় আগে দেখিনি। অন্য জায়গায় হলেও এই এলাকায় এমন ঘটনা আগে ঘটেনি।
সোমবার রাতের পর থেকে অনেকেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন। বন্যার পানি থেকে বাঁচতে কেউ কেউ উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
শহরের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সমুদ্রতীরগুলো অন্য সময় লোকে লোকারণ্য থাকলেও এখন সেগুলো একেবারে খালি পড়ে আছে।
রিও ডি জেনিরোর মেয়র মার্সেলো ক্রিভেল্লা বলেন, শহরের অনেক ঘরবাড়িই পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে তৈরি হয়েছে। আমরা স্থানীয়দের সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলাম।
এমন প্রবল বৃষ্টিপাতকে অস্বাভাবিক ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর উইলসন উইজেল টুইটারে ক্ষতিগ্রস্তদের সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এই শহরটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতে অন্তত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
টিএ