নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বহুল প্রতীক্ষিত এ আদালত চালুর ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকো।
ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কাজে লাগানোর অংশ হিসেবে এ আদালতটি চালু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, দেশটিতে দুর্নীতি পুরোদমে নির্মূল করতে এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক চাপ এবং ঘুষমুক্ত করতে এই আদালত ভূমিকা রাখবে।
প্রেসিডেন্ট পোরোশেনকো বলেন, বিশেষ এ আদালতের জন্য বিচারক নির্ধারণ করতে সময় লেগেছে প্রায় সাতমাস। আজ আমরা ফলাফল দেখছি। ৩৮ জন বিচারক মিলেই বিশেষ এ আদালতের বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন।
নতুন এ আদালতের বিচারকরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন পোরোশেনকো।
দুর্নীতি রুখতে পোরোশেনকোর ক্ষমতাকালেই ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরো অব ইউক্রেন ও অ্যান্টি-করাপশন প্রসিকিউটরস অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে দুর্নীতি দমন আদালত না থাকায় সেগুলোর কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে যাচ্ছিল। তাই বিশেষভাবে এ দুর্নীতি দমন আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এদিকে ৩১ মার্চ দেশটির নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন পোরোশেনকো। তবে এ নির্বাচনে তার প্রধান বিরোধী প্রার্থী কৌতুকাভিনেতা ও নবীন রাজনীতিবিদ ভলোদিমের জিলেনস্কি ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন।
১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এক মতামত জরিপে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে জেলেনেস্কির কাছে পোরোশেনকো পরাজিত হবেন বলেই উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এসএ/এইচএ/