শুক্রবার (১২ এপ্রিল) গেমটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পাবজি মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন গেমটিতে মূলত প্রতিটি খেলোয়াড়কেই একটি অচেনা দ্বীপে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) কাঠমান্ডু জেলা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নেপালের সব ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারীদের এ গেমটি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দেয় দেশটির টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ।
নেপালের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ প্রতাপ সিং বলেন, গেমটি খেললে অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ব্যাপক হারে অভিযোগ এসেছে তাদের পিতামাতা, অভিভাবক ও স্কুলসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে। এরই ভিত্তিতে এটি বন্ধের জন্য আমরা আদালতের অনুমতি চেয়েছিলাম।
গেমটি তৈরি করে ২০১৭ সালে এটি বাজারে ছাড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিডিও গেম তৈরি সংস্থা ব্লুহোল। এরপরই সারাবিশ্বে এটি জনপ্রিয় হয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী এটি এখন পর্যন্ত ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের দাবি, এ গেমটি সহিংসতা বৃদ্ধিকে প্ররোচিত করে। পাশাপাশি এটি খেলার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটে।
সওগাত জোসী নামে এক ব্যক্তি বলেন, শুধুমাত্র এ গেমটি বন্ধ কোনো সমাধান নয়। বাবা-মাকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ পাবজি হয়তো বন্ধ হলো, কিন্তু এমন আরও বহু গেম ইন্টারনেটে রয়েছে।
২০১৮ সালে অনলাইন গেমের ওপর নতুন করে নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। পাশাপাশি দেশটিতে নতুন গেম আনা এবং কম বয়সীদের এগুলো থেকে বিরত রাখতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এ গেম নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতের গুজরাটেও। সেখানে এটি খেলার অপরাধে অনেককে আটকও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এসএ/টিএ